
বাংলাদেশের ফুটবল এক রোমাঞ্চকর ক্ষণের অপেক্ষায়। দেশে আসছেন ইউরোপিয়ান ফুটবলে খেলা হামজা চৌধুরী। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে তার অভিষেক হওয়া সময়ের ব্যাপার। সম্প্রতি লেস্টার সিটি থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে গিয়েও জাদু দেখিয়েছেন এই ফুটবলার। তার আসার খবরে বাংলাদেশের ভক্তদের মাঝে উত্তেজনার রেণু ছড়াচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হবে বাংলাদেশের ক্যাম্প। এর আগেই হয়তো স্কোয়াডে যোগ দেবেন হামজা। তাকে সংবর্ধনা দিতে চায় বাফুফে, কিন্তু সবকিছু নির্ভর করছে কখন তিনি দেশে আসেন এবং সেই সময়টা পাওয়া যায় কি না তার ওপর।
হামজাকে বরণ নিয়ে বাফুফের পরিকল্পনা জানালেন সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম, ‘হামজা চৌধুরী কেবলই শেফিল্ড ইউনাইটেডে গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে তার নতুন ক্লাবের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়েছি। তার সম্ভাব্য আসার দিন ব্যাপারে কথা হচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত কিছু হয়নি। ন্যুনতম উইন্ডো পেলে আমরা অবশ্যই তার জন্য সংবর্ধনার ব্যবস্থা করবো। আমাদের এমনটাই ইচ্ছা আছে।’
তবে হামজা শেষ সময়ে এলে সংবর্ধনা থেকে পিছিয়ে আসতে হবে বললেন তিনি, ‘কিন্তু এসবই নির্ভর করছে তিনি শেষ পর্যন্ত কবে আসছেন, তার ওপর। আমরা কোচের সঙ্গে আলাপ করেই করবো এসব, কারণ অনুশীলনের সঙ্গে তো আপস করা যাবে না। অনুশীলন ও টিম বিল্ডিংই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
ফাহাদ করিম আরও বললেন, ‘জাতীয় টিম কমিটির চেয়ারম্যান কোচ ও মার্কেটিংয়ের পক্ষ থেকে আমরা কথা বলে জানবো কোন তারিখে আসছেন। তবে সবকিছুর ওপরে কোচের পরামর্শ ও রিকমেন্ডেশনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কারণ টিমের প্রস্তুতি আমাদের কাছে মুখ্য। আর উনি সরাসরি বাংলাদেশে আসবেন নাকি ভেন্যুতে যাবেন। এই ব্যাপার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রাইমারি আলাপ হয়েছিল, আমাদের বলা হয়েছিল, তিনি চান ব্যক্তিগতভাবে আগে বাংলাদেশে আসতে। এখান থেকে টিমের সঙ্গে যেতে চান। তবে সবকিছু নির্ভর করছে তার ক্লাব ও উনাদের অ্যাভেলিবিলিটি বা অপশন আছে।’
সুযোগ পেলে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়ার আগে হামজাকে ভক্তদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার ইচ্ছা বাফুফের, এমনটাই বললেন এই সহ-সভাপতি, ‘কিন্তু আমরা সুযোগ পেলে অব্যই তাকে সুন্দর সংবর্ধনা দিবো। আমরা মনে করি তার প্রচুর ভক্ত আছে বাংলাদেশ। কোনোভাবে যদি তাকে আমরা ভক্তদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারি সেই দিকে নজর দিবো।’