সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অনিয়মের মাধ্যমে ৮৮ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

অনিয়মের মাধ্যমে ৮৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়েরকৃত মামলায় সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমানসহ তিনজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সাতক্ষীরার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম আসামীদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগপত্র পর্যালোচনা শেষে ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আদালত থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার অপর দুই আসামী হলেন, ঢাকা উত্তরার বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. শাহীনুর রহমান ও ঢাকা শেরে বাংলা নগরের গণপূর্ত ই/এম কাঠের কারখানা বিভাগ এর উপসহকারি প্রকৌশলী মো. মাহফুজ আনাম
আসামী সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের ও বর্তমানে ঢাকার উত্তরার মৃত তফছির উদ্দিনের ছেলে। আসামী মো. শাহিনুর রহমান ঢাকা উত্তরার ও মাগুরা জেলা সদরের কাদিরাবাদ গ্রামের একেএম ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। আসামী মাহফুজ আনাম ঢাকার পল্লবী থানার মীরপুর ১৪নং রোডের ডি ব্লকের ও স্থায়ী ঠিকানা ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার পুরাতন বাখরবা গ্রামের আব্দুল করিম মোল্লার ছেলে।
জানা যায়, অনুমোদন ছাড়াই বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ব্যতীত, যথাযথ প্রাকল্লন ও স্পেসিফিকেশান প্রস্তুত ছাড়াই দরপত্র আহবান, বাজার দর যাঁচাই কমিটি ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিকে প্রভাবিত করে ও দাখিলকৃত দরদাতার সাথে যোগসাজসে সাতক্ষীরা ইনস্টিটিউট ও হেলথ টেকনোলজিতে নিম্নমানের ও কম মূল্যের ৩১ প্রকার আসবাবপত্র সরবরাহ করে বেশি দামে কেনা দেখিয়ে ৮৮ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে করে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৩ জুন এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ৫ জনকে আসামী করা হলেও তদন্তে সাতক্ষীরার বাকালের মেসার্স মোকাররম হোসেনের সত্বাধিকারী শেখ মোকাররাম হোসেন ও গণপূর্ত বিভাগের সাতক্ষীরা শাখার উপসহকারি প্রকৌশলী বদরুল হাসানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
পরিবর্তিত তদন্তকারি কর্মকর্তা দুদকের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রতন কুমার দাশ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ডা. তওহিদুর রহমান, শাহীনুর রহমান ও মাহফুজ আলমের নাম উল্লেখ করে ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ২১০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রটি গত ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক মো. নজরুল ইসলাম তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আদালত থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামি ১৬ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের দুদকের পিপি এড. আসাদুজ্জামান দিলু ওই তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশ বাংলা নিউজ