একটি জাতি কে ধ্বংস করতে হলে তার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কে ধ্বংস করতে হয়। বিগত দিন গুলোতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতি কে তিলে তিলে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের খ্যাতিনামা শিল্পীরা ছিলো এক প্রকার গৃহবন্দী। তারা কোনো শো করতে পারেনি ঠিক মতো। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা ছিলো এক কেন্দ্রীক। নতুন কোনো প্রতিভাবান শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক তৈরি হয়নি দেশে। বাংলাদেশে ভর করে ছিলো ভিনদেশী সাংস্কৃতিক।
জাতীয় থেকে স্থানীয় পর্যায়ে ভারতীয় পাকিস্তানি শিল্পীদের শো করার জন্য নিয়ে আসা হতো। দেশীয় শিল্পীরা ছিলো অসহায়। এমন একটি পর্যায়ে চলে গিয়ে ছিলো দেশ যে বিয়ের অনুষ্ঠানে সানি লিয়েনো কে আনা হতো পার্রফরমেন্স করতে। বাংলাদেশেরে সেই সময়ের সাংস্কৃতির ঠিকাদার তাপস তার চ্যানেলে লাইভ প্রগ্রামে বিদেশি মিউজিশিয়ানদের ডলারে বেতন দিয়ে প্রগ্রাম করাতো। আর দেশী মিউজিশিয়ানরা তাদের তবলা, হারমোনিয়াম, বাঁশী, গিটার, ড্রাম, কিবোর্ড বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে তাদের বাচ্চার জন্য খাবার কিনতো। দেশের সাহিত্য সাংস্কৃতি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে চলে গিয়েছিলো।
দেশের পরিবর্তিত পেক্ষাপটে এই বিষয়টি খুব ভালো ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন তারেক রহমান। তাই সবার আগে বাংলাদেশ কনসার্ট এর মাধ্যমে সারাদেশে আবারও জাতীয় থেকে স্থানীয় পর্যায়ে শিল্পীদের নিয়ে যাচ্ছেন মানুষের কাছে। এতে করে দেশের তরুন সমাজ এই দেশের শিল্পীদের প্রতিভা জানতে পারবে। উপভোগ করতে পারবেন দেশীয় সাংস্কৃতিকে।
এই জন্য তারেক রহমান এর নির্দেশনায় শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ভাই কে সভাপতি ও রকিবুল ইসলাম বকুল ভাই কে সাঃ সম্পাদক করে “সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন” গঠন করেছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশীয় সাংস্কৃতিকে পূর্নগঠনের ধারাবাহিকতা আগামী ১১ জানুয়ারী খুলনার জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান হবে সবার আগে বাংলাদেশ কনসার্ট। দলমত নির্বিশেষে সবাই আসবেন আপনার সন্তান পরিবার আত্মীয় স্বজন নিয়ে বাংলাদেশের শিল্পীদের গান উপভোগ করতে। সাথে সাথে দেশীয় সাংস্কৃতির সাথে তাদের সেতু বন্ধন তৈরি করতে।
“সবার আগে বাংলাদেশ কনসার্ট” এর সার্বিক মঙ্গল কামনা করি। আর যে লক্ষ নিয়ে এই আয়োজন তা যেনো ব্যার্থ না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য আয়োজকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।