আন্তর্জাতিক

নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখাল ইরান

ইরান রোববার একটি নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে। এটি প্রায় ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। রাজধানী তেহরানে একটি অনুষ্ঠানে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান নতুন এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইতেমাদ’, যার বাংলা অর্থ বিশ্বাস বা আস্থা।

‘সাম্প্রতিকতম এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি’ তৈরি করেছে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ বেড়েছে। তাদের অভিযোগ, তেহরান মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করছে।

নতুন ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইরানের অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির প্রধান শত্রু ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম। গাজা যুদ্ধের জেরে গত বছর ইসরায়েলে দুবার হামলা চালিয়েছে ইরান।
রোববার টেলিভিশন বক্তৃতায় মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘মহাকাশ প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার উন্নতির লক্ষ্য হলো এটা নিশ্চিত করা যে, কোনো দেশ ইরানের সীমান্তে আঘাত করতে সাহস করবে না।’

তেহরানের একই অনুষ্ঠানে নিজেদের তৈরি তিনটি স্যাটেলাইটও উপস্থাপন করেছে ইরান। এর মধ্যে একটি স্যাটেলাইটের নাম নাভাক। আর দুটি হলো পার্স-১ ও পার্স-২। এই দুটো মূলত আগের দুটো স্যাটেলাইটের উন্নত সংস্করণ।

শেষের দুটি স্যাটেলাইট সাধারণত ‘পরিবেশ, জরুরি পরিস্থিতি এবং নগর ব্যবস্থাপনা’ তদারকির কাজে ব্যবহার করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইরনার প্রতিবেদনে।
রোববারের অনুষ্ঠানটি ইরানের জাতীয় মহাকাশ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে ১০ ফেব্রুয়ারি দেশটির ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ৪৬তম বার্ষিকী উদ্‌যাপিত হবে, এর মাত্র কয়েক দিন আগেই আয়োজন করা হলো এই অনুষ্ঠান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ তৈরির নীতি গ্রহণ করেছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেওয়ার পর এরই মধ্যে একাধিকবার শক্তিমত্তা প্রদর্শন করেছে তেহরান। এসব কিছুর মধ্যে বড় পরিসরের সামরিক মহড়ার আয়োজন এবং মাটির নিচে সামরিক ঘাঁটির প্রদর্শনী অন্যতম।

এর আগে শনিবার একটি নতুন মডেলের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও প্রকাশ করেছে ইরান। নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ‘গদার-৩৮০’। এটি এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

এসব সামরিক শক্তিমত্তা প্রদর্শনের পাশাপাশি ইরান এটাও বলেছে, তাঁরা পশ্চিমাদের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা নতুন করে শুরু করতে প্রস্তুত। কয়েক দশক ধরে এ বিষয় নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button