শিক্ষা

খুবিসহ বিশ্বের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গড়ে উঠছে গ্লোবাল এসডিজি ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক

জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ড্রেসডেন (টিইউ) সাথে বনবিদ্যায় উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা এবং গ্লোবাল সাউথের অংশীদারদের শিক্ষাদান, গবেষণা ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে টেকসই বিষয়গুলোতে সহযোগিতার লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গড়ে উঠেছে ‘গ্লোবাল-এসডিজি-ক্যাম্পাস’ নেটওয়ার্ক।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ড্রেসডেন (টিইউ), ক্যামেরুনের ইউনিভার্সিটি অব বামেন্ডা, থাইল্যান্ডের ক্যাসেটসার্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আর্জেন্টিনার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব লা প্লাটা।

গ্লোবাল এসডিজি ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক প্রকল্পটি ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি গতিশীল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। যেখানে তাদের দেশের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান একে অন্যের সাথে আদান প্রদান করছে। এর ফলে ফরেস্ট্রি এডুকেশনের একটি অনলাইনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স মডিউল তৈরি হচ্ছে, যা থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হবে। এছাড়া অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এক্সচেঞ্জ ও সহযোগিতামূলক গবেষণাকে উন্নত করতে একটি স্ট্যান্ডার্ড গ্লোবাল ক্যাম্পাস মোবিলিটি পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বার্ষিক পার্টনার ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া গতকাল রবিবার দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ শেষে সন্ধ্যায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রতিনিধিবৃন্দ।

এ সময় উপাচার্য বলেন, বনবিদ্যা সম্পর্কিত উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে এমন একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তাদের যৌথ ও সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘গ্লোবাল-এসডিজি-ক্যাম্পাস’ নেটওয়ার্ক বিশ্বে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি এই নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান, গ্লোবাল-এসডিজি-ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অংশের সমন্বয়কারী ও ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত, প্রফেসর ড. মোঃ ইফতেখার শামস্, প্রফেসর ড. মোঃ নবিউল ইসলাম খান, প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহান মল্লিক, দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান, আর্জেন্টিনার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব লা প্লাটার ড. সারাহ বার্নস, ক্যামেরুনের ইউনিভার্সিটি অব বামেন্ডার ড. জুড কিমেংসি, জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ড্রেসডেন প্রফেসর ড. লুকাস গিসেন ও ড. সিমন বেনেডিকটার, থাইল্যান্ডের ক্যাসেটসার্ট ইউনিভার্সিটির ড. থানিয়াপর্ন বাংবাই ও ড. কোবসাক ওয়াংথনচাই, থাইল্যান্ডের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মেরিন এন্ড কোস্টাল রিসোর্স বিভাগের ড. পুনশ্রী ওয়াংথনচাই এবং বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোঃ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button