
খুলনায় আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অর্ণব হত্যার সাথে জড়িত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে ৩ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাবার কনস্ট্রাকশন ব্যবসা, অপরাধ চক্র, চাঁদাবাজি এবং প্রেমঘটিত বিষয় এই চারটি বিষয়কে সামনে রেখে অর্ণব হত্যাকন্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে অর্ণব কুমার সরকারকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র ছাত্র ছিল।
বাড়ি থেকে একজন যুবক অর্ণবকে ডেকে শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে নিয়ে এসেছে বলে যেটি শোনা যাচ্ছে, সে সম্পর্কে মো: মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, এমন তথ্য আমরাও শুনেছি, এব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে নিহত অর্ণব কেন তেঁতুলতলা মোড়ে এসেছিল তা কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেনা।
সূত্রটি জানায়, হত্যার মিশনে ৭ সন্ত্রাসী ছিল। তাদের প্রত্যেকের মুখ মাফলার দিয়ে ঢাকা ছিল। তাদের একজনের হাতে শর্টগান ও বাকীদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। শর্টগান হাতে থাকা সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে একটি ও পিস্তল দিয়ে পরপর ৩টি গুলি করে। উপস্থিত অন্যান্য সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে জখম করে। হত্যাকারীরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মোটরসাইকেলে চড়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে হারিয়ে যায়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো: মনিরুজ্জামান মিঠু খুলনা গেজেটকে বলেন, পুলিশের কাছে আসা প্রাথমিক তথ্য বলছে এ হত্যা মিশনে প্রথমে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে আসে সন্ত্রাসীরা। এরপর আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে মহড়া দিয়ে আতংক সৃষ্টি করা হয়। আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেগুলো দেখা হচ্ছে। প্রতক্ষ্যদর্শীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা একজন পথচারী বলেন, খুবি ছাত্র অর্ণব রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঘটনাস্থলে বন্ধুদের সাথে দাড়িয়ে চা পান করছিলেন। এ সময়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের ঘিরে ফেলে। তখন অর্ণব তাদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন ‘আমি এর সাথে জড়িত নই’। এ কথা বলার পর একজন সন্ত্রাসী বলে, তুই তো ওই গ্রুপের সদস্য। একথা বলা মাত্র শর্টগান দিয়ে গুলি করে ওই সন্ত্রাসী। তারপর জনগণ ছত্রভঙ্গ করতে পরপর আরও ৩ রাউন্ড গুলি করা হয়। শর্টগানের একটি ও পিস্তলের তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, হত্যাকান্ডের রহস্য খুব দ্রুত উন্মোচন হয়ে যাবে। খুলনায় সন্ত্রাসীদের দৌরত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, এতদিন সন্ত্রাসীদের ওপর আমরা নজর রাখতাম, কিন্তু এখন তারা আমাদের গতিবিধি নজরে আনছে। তাদের দমনে হোন্ডা বাহিনী, চেকপোষ্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরিই অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে বলে পুলিশের এ উর্ধতন কর্মকর্তা মনে করেন।
দেশ বাংলা নিউজ