ডিপসিক নিয়ে কেন এত আলোচনা জানেন?

সম্প্রতি আলোচনার তুঙ্গে অবস্থান করছে ডিপসিক। চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের তৈরি ‘ডিপসিক এআই’ মডেল নিয়ে আলোচনা জমে উঠছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ডিপসিক এআইয়ের কার্যক্ষমতা এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটি, জেমিনি ও ক্লডের মতো বিভিন্ন এআই মডেলকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে চীন।
ডিপসিকের জনপ্রিয়তার মূল কারণ এর ডিপসিক আর১ মডেল। মডেলটি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি ওপেন সোর্সনির্ভর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্ল্যাটফর্ম। ওপেন সোর্স হওয়ায় এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় এবং ব্যক্তিগত বা পেশাগত কাজে সহজেই কাস্টমাইজ করা যায়।
ডিপসিক মূলত উন্নত এআই মডেল। চীনের হ্যাংজোভিত্তিক একটি গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে মডেলটি। ২০২৩ সালে গবেষণাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন প্রকৌশলী লিয়াং ওয়েনফেং। ওপেন-সোর্সভিত্তিক এআই মডেলটির চ্যাটবট অ্যাপ অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে উন্মুক্তের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে চ্যাটজিপিটির তুলনায় বেশিবার নামানো হয়েছে। আর তাই ডিপসিক এআই মডেলটি সিলিকনভ্যালিসহ এআই দুনিয়াকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করছে বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
উইন্ডোজ ১০ থেকে পরবর্তী সংস্করণ, ম্যাকওএস ১০.১৫ বা তার পরবর্তী সংস্করণ এবং উবুন্টু ১৮.০৪ বা তার পরবর্তী সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারে ডিপসিক এআই সফটওয়্যার ডাউনলোড ও ইনস্টল করা যাবে। তবে ডিপসিক এআই ব্যবহারের জন্য অবশ্যই কম্পিউটারে মাল্টি-কোর প্রসেসর (কোয়াডকোর বা তার বেশি), উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এনভিডিয়া জিপিইউ (সিইউডিএ সমর্থনসহ), কমপক্ষে ৮ গিগাবাইট র্যাম (১৬ গিগাবাইট বা তার বেশি হলে ভালো) এবং এসএসডি স্টোরেজে ৫০ গিগাবাইট জায়গা ফাঁকা থাকতে হবে। সফটওয়্যার ইনস্টলের পাশাপাশি চাইলে ডিপসিকের এআই সুবিধা অনলাইন থেকেও সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। স্মার্টফোনে ডিপসিক অ্যাপ ব্যবহারের জন্য অ্যাপল অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে DeepSeek লিখে সার্চ করে অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে। এরপর ই–মেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে নিবন্ধন করে ডিপসিক অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।