করোনার উপসর্গে মৃতের দাফনের ভার নিলেন ফেনীর পরশুরাম উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইয়াসিন শরিফ মজুমদার

দেশ বাংলা নিউজ ডেস্কঃ
দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনার উপসর্গ নিয়ে অথবা করোনায় মৃতের দাফন নিয়ে ব্যাপক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা নিয়ম মেনে দাফনের বিষয়ে বলা হলেও অনেক এলাকার মানুষ আতঙ্কে মরদেহ দাফনে বাধা দিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহায়তা ছাড়া মরদেহের দাফন সম্পন্ন হচ্ছে না। তবে যেখানে প্রশাসনে লোক পৌঁছাতে পারছেন না সেখানে উপসর্গ নিয়ে মৃতের স্বজনদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমন সংকটময় মুহূর্তে করোনায় বা করোনার উপসর্গে মৃতের দাফনের ভার নিয়েছেন ফেনীর পরশুরাম উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইয়াসিন শরিফ মজুমদার।
উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইয়াসিন শরিফ মজুমদারের নেতৃত্বে মহিউদ্দিন চৌধুরি তুহিন, মোহাম্মদ খায়রুল আলম মজুমদার, আরিফুল ইসলাম মজুমদার রাহুল, মো. আলাউদ্দিন, মন্সুর আহমেদ, জহিরুল ইসলাম হৃদয়, এনামুল করিম আজাদ, আবুল কালাম, নাহিদ হায়দারসহ একটি কমিটি উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করোনায় বা করোনার উপসর্গে মৃতের দাফনের ভার নিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত কিছুদিন আগে পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের কহুয়া গ্ৰামের এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলে তার গ্ৰামের বাড়ি মাটি দিতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় এলাকার লোক বাধা দিলে মৃত ব্যক্তির দাফন কার্য সম্পন্ন করে ইয়াসিন শরীফ মজুমদারের নেতৃত্বে এই দলটি।
উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইয়াসিন শরিফ মজুমদার বলেন, মানুষ মানুষের জন্য, হোক না সে কোভিট-১৯ আক্রান্ত। তিনি মারা গেলে শেষ বিদায়ের জন্য কেউ এগিয়ে আসে না, এটা হতে পারে না। সেই মৃত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা আমাদের কর্তব্য, সেই পালনে আমরা বদ্ধ পরিকর।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘কয়েকদিন আগে মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত আদেশের প্রেক্ষিতে মৃতদেহের দাফনের জন্য আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবক অফিশিয়াল ফেসবুকে আইডিতে পোস্ট করেছিলাম, সেই উপলক্ষে সাড়া দিয়ে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইয়াসিন শরিফ মজুমদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল আমার সাথে যোগাযোগ করে। এরপর আমি তাদেরকে মরদেহ দাফনের নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেই।’