আর্তমানবতার সেবায় অনন্য সামাজিক সংগঠন “জাগ্রত মানবিকতা “

নিজস্ব ডেস্কঃ
“যেদেশে নূন্যতম ১৫ টাকা দিয়ে পানির বোতল কিনতে হয়,সেই দেশে ফ্রিতে রক্ত প্রদান করা হয়” এই উক্তিটির যথার্থতা প্রমান করেছে জাগ্রত মানবিকতা।
হাসপাতালে গেলে দেখা যায় অসহায় মানুষের আত্মচিৎকার,রক্তের জন্য ছোটাছোটি।প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায় না রক্ত।কিন্তু সেই কথাটিকে ভুল প্রমাণ করে কুমিল্লা শহরের প্রতিটি অলি-গলির হাসপাতালে রক্ত দিয়ে যাচ্ছে জাগ্রত মানবিকতার সদস্যরা।
রক্তদান ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে জাগ্রত মানবিকতা। অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়া,গরীব-দুঃখী মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা,বিভিন্ন জনকল্যানমমূলক কর্মসূচি পালন করে আসছে জাগ্রত মানবিকতা।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ইস্যুতে জাগ্রত মানবিকতার কর্মসূচিগুলো চোখে পড়ার মত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় অনুপ্রানিত হয়ে কুমিল্লার সদরে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকের ধান কেটে, মাড়াই করে বাড়ীতে পৌছে দিয়েছে সামাজিক সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার ২০ ভলান্টিয়ার।
সকালে সদরের মাঝিগাছায় জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনার তত্বাবধায়নে কৃষক রফিক উদ্দিনের ৬০ শতাংশ জমির ধান কেটে, মাড়াই শেষে বাড়ীতে পৌছে দেয় জাগ্রত মানবিকতার সদস্যরা।
এছাড়াও জাগ্রত মানবিকতার সাধারন সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনার সরাসরি দিক-নির্দেশনায় সংগঠনটির সদস্যরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রান-সামগ্রী পৌছে দিচ্ছে।যেসব মানুষের ত্রান নিতে আত্মসম্মানে বাঁধে,তাদের পরিচয় গোপন রেখে ত্রান প্রদান করছে জাগ্রত মানবিকতা।
এছাড়াও করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি অনলাইনে প্রচার করছে সংগঠনটি।
আস্তে আস্তে বিস্তৃত হচ্ছে এর কার্যক্রম। জাগ্রত মানবিকতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি ও সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনার সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই সংগঠনটি ভবিষ্যতে দেশের যেকোন ক্রান্তিকালে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।