আর্থিক ক্ষতির মুখে অষ্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড

অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের জন্য প্রয়োজনে সফর স্থগিতাদেশ শিথিল করার কথাও ভাবছে অস্ট্রেলীয় সরকার। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।ক্রিকেট বোর্ডকে তিনশ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার লোকসান থেকে রক্ষা করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। তবে বিসিসিআই থেকে এখনো আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।
লকডাউনের কারণে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। ৮০ শতাংশ স্টাফকে ইতোমধ্যে অব্যাহতি দিয়েছে সিএ। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে চার টেস্টের হোম সিরিজটি এই সংকট উত্তরণে কিছুটা সহায়ক হবে বলে বিশ্বাস বোর্ডের।
চার বছরের ক্রিকেটীয় আর্থিক চক্রে সম্প্রচার স্বত্ব থেকে ৫০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিলো তাদের। যদি দর্শক-শূন্য স্টেডিয়ামে পরিচালিত ম্যাচ টেলিভিশনে সম্প্রচার হয় তাহলে লোকসান হবে ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার। কিন্তু যদি বিরাট কোহলিদের সফর পিছিয়ে যায়, তাহলে লোকসানের পরিমাণ হবে বিশাল।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সফর স্থগিতাদেশ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। যা বাড়তে পারে আরো। এ অবস্থায় আর্থিক ক্ষতি কমাতে অস্ট্রেলিয়া-ভারত এ সিরিজের গুরুত্ব তুলে ধরে সরকারের শরণাপন্ন হয়েছে বোর্ড। সরকার থেকেও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে।
চার টেস্টের সঙ্গে আরো একটি ম্যাচ যোগ করে বছরের শেষভাগে হোম সিরিজটি আয়োজনে ভারতীয় বোর্ডকে প্রস্তাব দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে, করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে এখনো এ সফরের জন্য প্রস্তুত নয় বিসিসিআই। জানিয়েছেন ভারতীয় বোর্ডের এক কর্মকর্তা। সাত-আট মাস পরের খেলা নিয়ে ভাবার মতো পরিস্থিতি নয় এটা। ওই সময় অবস্থা কেমন থাকবে কেউ জানেনা।
ভারতীয় বোর্ডের এমন মনোভাবের পরও জোর চেষ্টা চালাবে অজিরা। শুধু এ সিরিজই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনটাও যে মহা-চ্যালেঞ্জ। সবমিলিয়ে বেশ দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে সিএ প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টসকে।